ডিজিটাল বাংলাদেশের ১৩ বছরের পথচলায় নাগরিকবান্ধব সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্ভাবন চর্চার প্রসারে এটুআই-এর নানা উদ্ভাবনের গল্প ও এর প্রভাব নিয়ে ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’ এবং ‘কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি’-শীর্ষক দুটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বুধবার একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে প্রকাশনা দুটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক তথ্যসচিব জনাব কামরুন নাহার ও বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটুআই-এর নেয়া সফল উদ্যোগগুলোকে ঘিরে কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি তৈরি করা হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এবং এটুআই-এর উদ্যোগে প্রকাশিত ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’ শীর্ষক সংকলনে সারাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্ভাবনীর সেবার বিভিন্ন গল্পকে ঘিরে ৫০টি প্রতিবেদন (বাংলা ও ইংরেজি) তুলে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নাগরিকবান্ধব সেবা প্রদানে শুরু থেকে কাজ করে আসা এটুআই-এর ভূমিকা ও অর্জন, এর বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ (যেমন: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ই-নথি, ডিজিটাল সেন্টার, মাইগভ, ৩৩৩, একশপ, একপে, ই-নামজারি, ফোরআইআর, জেলা ব্র্যান্ডিং, মুক্তপাঠ, শিক্ষক বাতায়ন, কিশোর বাতায়ন, ইনোভেশন ল্যাবের উদ্যোগসমূহ ইত্যাদি) এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সচিত্র ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনার মাধ্যমে কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি শীর্ষক প্রকাশনাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এটুআই-এর মধ্যকার সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর স্থানীয় সাংবাদিক (জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো চিফ)-এর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণের ডিজিটাল সেবার বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে আনা হয়েছে। হাতের নাগালে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে এটুআই-এর উদ্যোগে বাস্তবায়িত বিভিন্ন সেবা ও সার্ভিস নিয়ে বাসস কর্তৃক প্রকাশিত ৫০টি বিশেষ সরেজমিন প্রতিবেদনসমূহের নিয়ে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’-শীর্ষক সংকলন প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশেষ এই প্রতিবেদনগুলোতে স্থানীয় জনগণ কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন, কী ভাবছেন, তাদের জীবনমানে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে, সার্ভিসগুলো ভবিষ্যতে কীভাবে আরও জনবান্ধব করা যায় সেসব বিষয়গুলো সাংবাদিকগণ তাদের প্রতিবেদনে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন।
প্রকাশনা দুটি পলিসি মেকার, উদ্যোক্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এর মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এটুআই এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নাগরিকবান্ধব সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারবেন।